স্রষ্টা, সৃষ্টী ও সেবা

নবম-দশম শ্রেণি (মাধ্যমিক) - হিন্দু ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা - সৃষ্টা ও সৃষ্টি | | NCTB BOOK

প্রথম অধ্যায়

দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ : স্রষ্টা, সৃষ্টি ও সেবা

পূর্ব পরিচ্ছেদে আমরা স্রষ্টার স্বরূপ ও উপাসনা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনেছি। এ পরিচ্ছেদে স্রষ্টা, সৃষ্টি ও সেবা সম্পর্কে জানব । ঈশ্বর সবকিছু সৃষ্টি করেছেন । তিনি সকল কিছুর নিয়ন্তা । তিনি এক ও অদ্বিতীয়। তাঁর আদি নেই, অন্ত নেই । তাঁকে চোখে দেখা যায় না, তিনি নিরাকার । তিনিই জীবের মধ্যে আত্মারূপে অবস্থান করেন । তাই জীবকে সেবা করলে ঈশ্বরের সেবা করা হয়। এ অধ্যায়ে আমরা সকল সৃষ্টির মূলে ঈশ্বর, জীবের মধ্যে আত্মারূপে ঈশ্বরের অবস্থান, এ সম্পর্কে একটি শ্লোক ও কবিতা এবং ঈশ্বর জ্ঞানে জীবসেবা সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা করব ।

এ অধ্যায় শেষে আমরা-

  • সকল সৃষ্টির মূলে ঈশ্বরের অস্তিত্ব ব্যাখ্যা করতে
  • পারব আত্মারূপে জীবের মধ্যে ঈশ্বরের অবস্থানকে
  • ব্যাখ্যা করতে পারব ধর্মগ্রন্থ থেকে জীব ও জগতের মধ্যে ঈশ্বরের অবস্থান সম্পর্কে একটি মন্ত্র বা শ্লোকের অর্থ ও এর শিক্ষা ব্যাখ্যা করতে পারব
  • সবকিছুর মূলে ঈশ্বরের অবস্থান সম্পর্কিত একটি গীতিকবিতা ব্যাখ্যা ও এর শিক্ষা শনাক্ত করতে পারব
  • ঈশ্বরজ্ঞানে জীব সেবার গুরুত্ব বর্ণনা করতে পারব
  • জীব ও প্রকৃতির মধ্যে ঈশ্বরের অস্তিত্ব উপলব্ধি করতে এবং জীবসেবা ও পরিবেশ সংরক্ষণে উদ্বুদ্ধ হব।

 

পাঠ ১ : সকল সৃষ্টির মূলে ঈশ্বর সুনীল আকাশ, পৃথিবী ও পৃথিবীর প্রকৃতি— সব মিলিয়ে বিচিত্র এ বিশ্বব্রহ্মাণ্ড। অনন্ত আকাশজুড়ে বিরাজ করছে চন্দ্র, সূর্য, গ্রহ ও নক্ষত্রমণ্ডলী । পৃথিবীতে রয়েছে সমুদ্র, মহাসমুদ্র, নদ-নদী, পাহাড়-পর্বত, গাছ- পালা, আলো-বাতাস ও বিভিন্ন ধরনের জীবজন্তু । সবকিছু মিলে বিশ্বব্রহ্মাণ্ড । আদিতে এ মহাবিশ্ব ছিল না । তখন সব ছিল অন্ধকার। তারপর এল আলো, জল এবং জলের পরে পৃথিবী। পৃথিবীর পরে এল গাছ-পালা, কীট-পতঙ্গ, জীবজন্তু, মানবকুল প্রভৃতি । এ সবকিছু সৃষ্টির মূলে রয়েছেন ঈশ্বর । গীতায় বলা হয়েছে, তিনি পরমাত্মা এবং একমাত্র আশ্রয় । এ বিশ্বে জীবকুল সৃষ্টির মূলে রয়েছেন ঈশ্বর । আবার তিনিই জীবদেহের মধ্যে নিয়ন্ত্রণকারী জীবাত্মা হিসেবে বিরাজ করছেন । তিনি জীবের জীবন, প্রাণীর প্রাণ, সর্বভূতের সনাতন বীজ। জীবদেহের ভেতরে যে জীবন আছে তা পরমাত্মারই অংশ । আত্মা ছাড়া জীবদেহ অচল, মৃত । তিনি জীবের জন্ম ও মৃত্যুর কারণ । কথাটি আরও একটু বুঝিয়ে বলি : জীবদেহের মধ্যে যখন ঈশ্বর আত্মারূপে প্রবেশ করেন, জীবদেহ তখন চেতনাসম্পন্ন হয়, সচল, সক্রিয় হয়। যতদিন জীবাত্মারূপে তিনি জীবদেহে অবস্থান করেন, ততদিনই জীবের জীবন বা আয়ু থাকে । জীবাত্মা জীবদেহ পরিত্যাগ করলে জীবের মৃত্যু ঘটে এবং মৃত্যুর মধ্য দিয়ে দেহের বিনাশ ঘটে । তাই বলা হয়েছে ঈশ্বরই আমাদের জন্ম ও মৃত্যুর কারণ। তিনিই আমাদের চিন্তা, চেতনা ও সকল প্রচেষ্টার নিয়ন্তা ।

ঈশ্বর মানুষ ও জীবজন্তুর কল্যাণে অফুরন্ত সৌন্দর্যে ও সম্পদে ভরপুর এ সুন্দর পৃথিবী ও প্রকৃতি সৃষ্টি করেছেন। এ প্রকৃতিতে বিরাজ করছে কত রকমের ফুল, কত রকমের ফল। প্রকৃতির সৌন্দর্য তাঁরই সৌন্দর্য । সৌন্দর্য সৃষ্টির মূলেও ঈশ্বর রয়েছেন ।

পাঠ ২ : আত্মারূপে ঈশ্বর

স্রষ্টা বা ঈশ্বর সর্বশক্তিমান। হিন্দুধর্মাবলম্বীরা স্রষ্টাকে ব্রহ্ম, ঈশ্বর বা ভগবান বলে অভিহিত করেন। জ্ঞানীদের কাছে ঈশ্বর ব্রহ্ম, যোগীদের কাছে পরমাত্মা এবং ভক্তের নিকট ভগবান নামে পরিচিত । পরমাত্মা জীবের মধ্যে আত্মারূপে অবস্থান করেন । পরমাত্মা যখন জীবের মধ্যে অবস্থান করেন, তখন তিনি জীবাত্মার রূপ ধারণ করেন । এই পরমাত্মা থেকেই জীবের সৃষ্টি । আত্মা নিত্যবস্তু ও নিরাকার । আত্মার জন্ম নেই, মৃত্যু নেই । একই পরমাত্মা বহু আত্মারূপে জীবদেহের মধ্যে অবস্থান করেন। জীবদেহের বিনাশ আছে, কিন্তু আত্মার বিনাশ নেই । কারণ জীবাত্মা পরমাত্মারই অংশবিশেষ । পরমাত্মার সকল গুণই জীবাত্মার

 

 

 

মধ্যে বিদ্যমান । তাই পরমাত্মার ন্যায় জীবাত্মাও জন্ম-মৃত্যুহীন এবং শাশ্বত । শ্রীমদ্‌ভগবদ্‌গীতায় ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন, আত্মার সৃষ্টি বা বিনাশ কোনটিই সম্ভব নয় । ইনি নিত্য বিদ্যমান । ইনি জন্মরহিত, নিত্য, শাশ্বত এবং পুরাণ । শরীরের বিনাশ ঘটলেও, ইনি বিনষ্ট হন না

(গীতা, ২/২০) । আত্মার দেহান্তর ঘটে । শ্রীমদ্‌ভগবদ্‌গীতায় বলা হয়েছে-

“বাসাংসি জীর্ণানি যথা বিহায় নবানি গৃহাতি নরোঽপরাণি । তথা শরীরাণি বিহায় জীর্ণা ন্যন্যানি সংযাতি নবানি দেহী' (২/২2)

অর্থাৎ মানুষ পুরাতন কাপড় পরিত্যাগ করে যেমন নতুন কাপড় পরিধান করে, আত্মাও তেমনি পুরাতন দেহ পরিত্যাগ করে নতুন দেহে প্রবেশ করে । আত্মার এই দেহ পরিবর্তনকে জন্ম ও মৃত্যু বলে ।

দেহ ও আত্মার মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে । দেহকে আশ্রয় করে আত্মার অভিযাত্রা । আবার আত্মাকে লাভ করে দেহ সজীব । দেহহীন আত্মা নিষ্ক্রিয়, আত্মাহীন দেহ জড় । অর্থাৎ জড় বস্তুর আত্মা নেই, তাই নিশ্চল, প্রাণহীন ও ক্রিয়াহীন । আত্মার জন্ম ও মৃত্যু নেই । গীতায় শ্রীকৃষ্ণের উক্তিতেও জানা যায়-আত্মা জন্মহীন, মৃত্যুহীন শাশ্বত, পুরাতন হয়েও চিরনতুন ।

পাঠ ৩ : জীবের মধ্যে আত্মারূপে ঈশ্বরের অবস্থান সম্পর্কিত একটি মন্ত্র বা শ্লোক এবং

ঈশ্বরের অবস্থান সম্পর্কিত কবি রজনীকান্ত সেন-এর গীতিকবিতা

শ্রীমদ্‌ভগবদ্‌গীতায় বলা হয়েছে :

অহমাত্মা গুড়াকেশ সর্বভূতাশয়স্থিতঃ। অহমাদিশ্চ মধ্যঞ্চ ভূতানামন্ত এব চ ॥ (১০/20 )

সরলার্থ : হে অর্জুন! আমি সকল প্রাণীর হৃদয়স্থিত আত্মা, আমি ভূতসকলের আদি, মধ্য ও অন্ত ।

শিক্ষা : এখানে আদি বলতে জীব-জগতের উৎপত্তি, মধ্য বলতে তাদের স্থিতি এবং অন্ত বলতে তাদের মৃত্যু বোঝানো হয়েছে । ঈশ্বরই জীবের মধ্যে আত্মারূপে অবস্থান করছেন । একথা উপলব্ধি করে আমরা ঈশ্বরের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করব এবং জীবকে ঈশ্বরজ্ঞানে ভালোবাসব ও সেবা করব । উল্লিখিত শ্লোকের আলোকে আমরা এই শিক্ষা গ্রহণ করতে পারি-

আছ অনল-অনিলে

চির নভোনীলে

ভূধর সলিল গহনে,

আছ বিটপী লতায়

জলদের গায়

শশী তারকায় তপনে ।

ব্যাখ্যা : উল্লিখিত কবিতাংশটি রজনীকান্ত সেন-এর একটি গীতিকবিতার অংশ । এখানে সবকিছুর মূলে ঈশ্বরের অবস্থান সম্পর্কে বলা হয়েছে । ঈশ্বর তাঁর সকল সৃষ্টি ও সৌন্দর্যের মধ্যে অবস্থান করেন । কবি রজনীকান্ত সেন-এর এ গীতিকবিতায় তিনি ব্যক্ত করেছেন যে নিরাকার ঈশ্বর অনল অর্থাৎ অগ্নি, বায়ু ও 

 

 

 

সুনীল আকাশে আছেন । এর অর্থ হচ্ছে - অগ্নির যে দাহিকা শক্তি, তা ঈশ্বরের শক্তি। বায়ু ঈশ্বরেরই সৃষ্টি । বায়ুর যে গতি, তার মূলে রয়েছে ঈশ্বরের শক্তি । আমাদের মাথার ওপরে যে সুনীল আকাশ, ঈশ্বর সেখানেও আছেন নীলিম সৌন্দর্যরূপে । একইভাবে ভূধরে মানে পর্বতের দৃঢ়তা, উচ্চতা ও মৌনতার মধ্যে ঈশ্বরের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায় । আবার ঈশ্বর আছেন জলের গভীরতায় । তিনি বৃক্ষ, লতা, মেঘ, চন্দ্ৰ, সূর্য ও তারকারাজির মধ্যেও বিরাজিত আছেন। এ সব কিছুই তাঁর সৃষ্টি। তিনি তাঁর সকল সৃষ্টির মধ্যে অবস্থান করছেন। রজনীকান্ত সেন এ কবিতায় ব্যক্ত করেছেন যে, ঈশ্বর সকল কিছুর মূলে অবস্থান করছেন । তিনি তাঁর সৃষ্টিকে নিজের মহিমা ও সৌন্দর্য দিয়ে সৃষ্টি করেছেন । তাই ঈশ্বরের সৌন্দর্যেই সকল কিছু সুন্দর। তাঁর শক্তিতেই সকল কিছু শক্তিমান ।

পাঠ ৪ : ঈশ্বরজ্ঞানে জীবসেবা

সাধারণ অর্থে ‘সেবা' বলতে পরিচর্যা করা বোঝায়। যেমন- অতিথি সেবা, জীবসেবা, ঈশ্বর সেবা প্রভৃতি। অপরের সন্তোষ বিধানের জন্য দেহ ও মনের সমন্বয়ে কল্যাণকর যে কাজ করা হয় তাকে সেবা বলে। জীবসেবা বলতে জীবের পরিচর্যা, সংরক্ষণ ও বৃদ্ধি করাকে বোঝায়। এ ছাড়াও বুদ্ধি দিয়ে, পরামর্শ দিয়ে, সহানুভূতি জানিয়ে, বিপদে পাশে দাঁড়িয়ে নানাভাবে সেবা করা যায়। আমরা জীবের সেবা করব কেন? আমরা জানি, ঈশ্বর জীবাত্মারূপে জীবের মধ্যে অবস্থান করেন। তাই জীবসেবা করলে ঈশ্বরকে সেবা করা হয়।

জীবের সেবা করা হিন্দুধর্মের অন্যতম প্রধান ব্রত হিসেবে বিবেচিত। 'যত্র জীবঃ তত্র শিবঃ'। অর্থাৎ যেখানে জীব সেখানেই শিব। এখানে শিব বলতে ঈশ্বরের কথাই বোঝানো হয়েছে। স্বামী বিবেকানন্দ বলেছেন :

'বহুরূপে সম্মুখে তোমার ছাড়ি কোথা খুঁজিছ ঈশ্বর জীবে প্রেম করে যেইজন, সেইজন সেবিছে ঈশ্বর।'

এ কথার তাৎপর্য এই যে, বহুরূপে অর্থাৎ বহুজীবরূপে ঈশ্বর আমাদের সম্মুখেই আছেন। তাই তাঁকে খুঁজে বেড়ানোর দরকার নেই। যিনি জীবকে ভালোবাসেন, তিনি সেই সেবার মধ্য দিয়ে ঈশ্বরেরই সেবা করেন। তাই হিন্দুধর্মে জীবকে ঈশ্বর বা ব্রহ্মজ্ঞানে সেবা করতে বলা হয়েছে। কারণ জীবকে সেবা করলেই ঈশ্বরের সেবা

 করা হয়।

সুতরাং ঈশ্বর জ্ঞানে জীবসেবা হিন্দুধর্মের একটি মূল বৈশিষ্ট্য এবং অন্যতম নৈতিক শিক্ষা।

হিন্দুধর্মে বৃক্ষ একটি জীব। বৃক্ষের মধ্যে প্রাণরূপে ঈশ্বর বিরাজিত। তাই বৃক্ষের সেবা বা পরিচর্যা করার

 

 

 

 

 

বিষয়টিকে হিন্দুধর্মে প্রাচীন কাল থেকেই অধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। আহারের শেষে কিছু অংশ বিভিন্ন প্রাণীর জন্য সংরক্ষণ করা হয় । এই অংশ জীবকে দেওয়া হয়। এভাবেও জীবসেবা হয়। হিন্দুধর্মে জীবসেবা প্রদানের জন্য বিভিন্ন সেবাশ্রম, মঠ গড়ে উঠেছে যা মানুষের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের

সেবা প্রদান করছে। বিভিন্ন উপায়ে জীবসেবা করা হচ্ছে ।

সকল জীবের মধ্যে প্রাণরূপে ঈশ্বর বিরাজিত এবং ঈশ্বরের সত্তা প্রকাশিত। আমরা এ সত্য উপলব্ধি করে, সব ভেদাভেদ ভুলে জীবের সেবা করব।

অনুশীলনী

বহুনির্বাচনি প্রশ্ন :

১। ‘আত্মা জন্মহীন মৃত্যুহীন শাশ্বত, পুরাতন হলেও চির নতুন' – কে বলেছেন? -

ক. শ্রীচৈতন্যদেব গ. শ্ৰীকৃষ্ণ

খ. শ্রীবিজয়কৃষ্ণ ঘ. শ্রীরামকৃষ্ণ

২। ভক্তদের কাছে ঈশ্বর কী নামে পরিচিত?

খ. বৈষ্ণব ঘ. পরমাত্মা

ক. ব্ৰহ্ম গ. ভগবান

৩ । জীবকে ভালোবাসার মূল কারণ হচ্ছে – 

i. যেখানেই জীব সেখানেই শিব iii. জাগতিক কল্যাণ হয়

ii. ঈশ্বর সন্তুষ্ট হন

নিচের কোনটি সঠিক?

ক. i ও ii গ. ii ও iii

খ. i ও iii

ঘ. i, ii ও iii

নিচের অনুচ্ছেদটি পড় এবং ৪ ও ৫ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :

অতীন্দ্র বাবু প্রতিদিন দুপুরে আহারের সময় একমুঠো ভাত তাঁর কুকুরকে দিতেন ।একটি একসময় কুকুরটি তাঁর খুব ভক্ত হয়ে ওঠে ।

৪ । অতীন্দ্র বাবুর আচরণে হিন্দুধর্মের কোন মূল বৈশিষ্ট্যের প্রতিফলন ঘটেছে?

ক. পশুপ্রীতি গ. কর্তব্যনিষ্ঠা

খ. জীবসেবা

ঘ. অন্নদান

 

 

 

 

 

৫। অতীন্দ্র বাবুর পক্ষে ঈশ্বরকে ভালোবাসা সম্ভব, কারণ তাঁর বিশ্বাসে রয়েছে ঈশ্বর—

i. সকল সৃষ্টির মূল

ii. মহাবিশ্বের নিয়ন্তা

iii. আত্মারূপে জীবের মধ্যে অবস্থান করেন

নিচের কোনটি সঠিক?

খ. i ও iii

ক. i ও ii

গ. ii ও iii

ঘ. i, ii ও iii

সৃজনশীল প্রশ্ন :

মৌমিতার বোনের জন্মের সাত দিন পরেই তার ঠাকুরমার মৃত্যু হয় । প্রিয় ঠাকুরমাকে হারিয়ে সে একা হয়ে পড়ে এবং মায়ের কাছে দুঃখ প্রকাশ করলে মা তাকে জীবাত্মা সম্পর্কে একটি ধর্মগ্রন্থের বক্তব্য বুঝিয়ে বলেন । মৌমিতা তা উপলব্ধি করতে পেরে শ্রদ্ধায় ঈশ্বরের প্রতি মাথা নত করে ।

ক. ব্রহ্ম থেকে কী সৃষ্টি হয়েছে?

খ. ঈশ্বরকে কেন আদি শক্তি বলা হয়?

গ. অনুচ্ছেদে মৌমিতার মা কোন ধর্মগ্রন্থের বক্তব্য তুলে ধরেন তা তোমার পঠিত বিষয়বস্তুর

আলোকে ব্যাখ্যা কর ।

ঘ. মৌমিতার উপলব্ধিটি তোমার পঠিত বিষয়বস্তুর আলোকে মূল্যায়ন কর ।  

Content added By
Promotion